গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ্ আলম ফারুকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
মানব কথা: ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ্ আলম ফারুক চৌধুরী যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় টানা ছয় বছর একই কর্মস্থলে থেকে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাই শেখ সেলিমের প্রভাবে বড় কমিশনের বিনিময়ে কাজ ভাগ বন্টন করতেন।
ফ্যাসিবাদের দোসর মোঃ শাহ্ আলম ফারুরক চৌধুরী ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন, ঢাকা শহরে বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, কুমিল্লায় ২৩ একর জমি একাধিক ব্যাংকে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা জমা রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে ফ্যাসিবাদ সরকার গঠন করার পর ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত, মোঃ শাহ্ আলম ফারুক চৌধুরী ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ বদলী হয়ে টানা ছয় নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব পালন করে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ভাই শেখ সেলিমের প্রভাবে গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মত গুরুত্বপূর্ন জায়গায় থেকে ছয় বছরে কোটি কোটি টাকা মেরামতের নামে লুটেপুটে খায়। বড় কমিশন দেয়া হয় শেখ সেলিকে এজন্য গনপূর্ত অধিদপ্তরের অন্য কোন কর্মকর্তা তার ভয়ে কথা বলত না। প্রধান প্রকৌশলীর সার্কুলার নির্দেশনা থাকা সত্তেও এলটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র করার কথা থাকলেও শতকরা ৯০% ভাগ ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র করে পছন্দের ঠিকাদারদের ২০% কমিশনের বিনিময়ে কাজ দিতেন। মহানগর দক্ষিনের যুবলীগ নেতা তাজবিরুল ইসলাম অনু নামকায়াস্তে কাজ বানিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ করে ও না করে বিল তুলে নিয়েছে। এই অর্থ তাজবিরুল ইসলাম অনু গণতন্ত্রেরও টুটি চেপে ধরে ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য সন্ত্রাসী লালনে নিমিত্তে এই অর্থ ব্যয় করেন।
আরো জানা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দুই দিনের মধ্যে কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে দরপত্র আহবান করেন, প্রায় ১০ কোটি টাকার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। যা ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর ইজিপি দেখলে প্রমান পাওয়া যাবে। বিগত বছর গুলিতে একই কাজ করেন যা ইজিপি এখনও প্রমান পাওয়া যাবে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ২২ জুন ২০২৩ জুন ক্লোজড থাকলেও তার দপ্তরে ইজিপি পোর্টালে ২৮ জুন ২০২৩ দরপত্র উন্মুক্ত হয়েছে। যার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার কে বড় কমিশন নিয়ে বিল পরিশোধ করেছেন। ফ্যাসিবাদের পরিক্ষীত দোসর শেখ পরিবারের লুটতরাজের অন্যতম সহচর পিয়ারু সর্দার কে তিনি গণভবন ও ধানমন্ডি ৩২ এর ১২ মাসে ১৩ পার্বণ এর রেকর্ড ভঙ্গ করে প্যান্ডেল ও সাজসজ্জার নামে বৌতিক বিল পরিশোধ করেন। তিনি পিয়ারু সর্দারের নাতি তানভীর কে কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। এই তানভীর কুমড়ো পোটাশ খ্যাত ফ্যাসিবাদের অন্যতম সংগঠক সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাতের সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্জ এন্ড ইনফরমেশন) এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
এসএস//