রমনা পার্কের মতো হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: আসিফ মাহমুদ

মানব কথা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রমনা পার্কের মতো পরিচালনা করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে। সেখানকার বিভিন্ন ভাসমান দোকানও তুলে দেয়া হবে। এছাড়া মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন এবং নিয়মিত বিরতিতে রেইড (অভিযান) পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আসিফ মাহমুদ।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ডিএমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘উদ্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইট লাগানো হবে। কোনো ব্লাঙ্কস্পট থাকবে না। পাশাপাশি দ্রুত সেখানে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। ক্যামেরাগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পর্যবেক্ষণ করবে। উদ্যানের জন্য একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।’
তিনি বলেন, বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ-কালকের মধ্যেই এটি বন্ধ দেখতে পাবেন। গেট সংলগ্ন যে ভাসমান দোকানগুলো রয়েছে, সেগুলো স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করা হবে। এটি দেখভালের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হবে।
আসিফ মাহমুদ জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। কোনো ব্লাংক স্পেস থাকবে না। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, যা মনিটর করবে ডিএমপি। এছাড়া উদ্যানে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল থেকেই রেইড দেয়া শুরু হবে। যেহেতু এখানে মাদকের বিষয় রয়েছে, তাই ডিএমপির সাথে থাকবে নারকোটিক্স বিভাগ। রেডগুলো নিয়মিত হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।