ফ্যাসিবাদের দোসর মিরপুর গণপূর্তের সাবেক প্রকৌশলী রাশেদ আহসানের অগ্রিম ১০০ কোটি টাকার বিল প্রদান

সময়: 11:04 am - September 21, 2025 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুর গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান জুন/২০২৫ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১০০ কোটি টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করেছেন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর মিরপুর গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মিরপুর পাইকপাড়া আবাসন কোয়ার্টার প্রকল্পের মেয়াদ জুন/২০২৫ শেষ হওয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে ১০০ কোটি টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করছেন যা নথিপত্র যাচাই প্রমান পাওয়া যাবে। দৈনিক মানব কথার প্রতিবেদক নিশ্চিত করেছেন ১০০ কোটি টাকার অগ্রিম বিল পরিশোধ করায় একটি হাই ভোল্টেজ তদন্ত কমিটি গঠন করছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। দৈনিক মানব কথার একটি টিম পাইকপাড়া আবাসন কোয়ার্টার নির্মান প্রকল্পের কাজ পরির্দশন দেখা যায় কাজ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয় নি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোট ৪০ জন মিস্ত্রি ও লেবার লোক দিয়ে ধির গতিতে কাজ করছে। দৈনিক মানব কথার কাছে একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন আমাদের বছরে একটা কাজ দেয় না অথচ পাচ কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে ১০০ কোটি টাকার অগ্রিম বিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে পরিশোধ করেছেন। এই রাশেদ আহসান মিরপুরের সাধারণ ঠিকাদার গত ছয় মাস আগে ছয় ঘন্টা অফিস কক্ষে অবুরুদ্ধ করে রাখেন পরবর্তী তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বের হন। এখানেই শেষ নয় রাশেদ আহসান ফ্যাসিবাদদের দোসরদের সাথে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র ও আর্থিক লেনদেনে ভারত সফরে করেছেন। মিরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান গত অক্টোবর মাসে একবার ও ডিসেম্বরে মাসে গিয়ে মিটিং করেছেন ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসরদের সাথে মিরপুর চলমান আবসান কোর্য়ার্টার প্রকল্পের ও প্রকৌশলী সেক্টর হতে বিপুল পরিমান টাকা হুন্ডি করে গোপন বৈঠক করতে ভারত যান একই সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরও দুই প্রকৌশলী উক্ত মিটিং উপস্থিত ছিলেন। তিন প্রকৌশলীর ছুটির আদেশ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে কাছাকাছি সময় অনুমোদন হয় বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের সুত্রো থেকে দৈনিক মানব কথার প্রতিবেদক নিশ্চিত হন। এই রাশেদ এতই চতুর যে যাওয়ার সময় তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের এপয়নমেন্ট যাতে কোন ভাবে ধরা না পরে কিন্তু পাপ বাপকেও ছাড়ে না এটা তিনি ভুলে গিয়ে ছিলেন। রাশেদ আহসান ছাত্রলীগের সাবেক একজন সক্রিয় নেতা ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় পুরো টাইম প্রায়ই ঢাকা পোষ্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন। এই ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান মিরপুর গণপূর্ত বিভাগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে শত শত কোটি কামিয়েছেন তিনি ঢাল হিসাবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হাসান নিখিল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপির দাপট দেখিয়ে টেন্ডার বানিজ্য করে চলছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এপিপির কাজ ক্রয় পরিকল্পনায় এলটিএম থাকলেও তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার জন্য ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে মোটা কমিশনের বিনিময়ে কাজ দিচ্ছেন। প্রধান প্রকৌশলী গণপূর্তে অধিদপ্তর, ঢাকার প্রজ্ঞাপন অমান্য এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র করে চলছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর মাইনুল হাসান নিখিল সহযোগী নির্বাহী প্রকৌশলী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর গুলি চালাতে প্রচুর টাকা রাশেদুজ্জামান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান নিখিল কে কোটি কোটি টাকার মেরামত কাজ দিয়ে ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন। মিরপুর গণপূর্ত বিভাগের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৮০% কাজ ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করেছেন যার আইডি নং ৯৯৫৩০০, ৯৯৪২৭৭, ৯৯৪০২০, ৯৯২৩৫২, ৯৯২৩৮৭, ৯৮১৬৬৭, ৯৮১৬৭১, ৯৮০১৫৯, ৯৮০২০৩, ৯৮০২৪৬, ৯৫৫২১৬, ৯৫৫২১৭, ৯৫৫২১৮, ৯৫৫২২০, ৯৫৩০৫৬, ৯৫৩০৯২, ৯৫৩১০৭, ৯৫৩১২৪, ৯৫৩১২৬, ৯৫৩১২৮, ৯৫৩২৪৫, ৯৫৩২৫৮, ৯৫৩২৬১, ৯৫৩৩৪০, ৯৫৩৪৬৬, ৯৫৩৬১৫, ৯৫৩৬৬৭, ৯৫৩৭৩৮, আরও অসংখ্য আইডি। এই সকল কাজ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হাসান নিখিল ভাগ করে দেন তার নেতা কর্মী ও নিজে ভাগ করে নেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুজ্জামান কে ১০% কমিশন নিয়ে তিনি ফ্যাসিবাদ সরকার কে পূর্নবাসন কেন্দ্রে পরিনত করেন মিরপুর গণপূর্ত বিভাগ কে এতে করে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী তার ভীষন ক্ষিপ্ত। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন এটা ফ্যাসিবাদ সরকারের আখড়ায় পরিনিত করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান। রাশেদ আহসান বেপোরোয়া দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর হওয়া সত্ত্বেও এখন মিরপুর গণপূর্ত বিভাগে ঘাপটি মেরে ফ্যাসিবাদ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলছেন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ৭০% ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর