ফ্যাসিবাদের দোসর কাস্টমস হাউস সাবেক ডেপুটি কমিশনার রেবেকা সুলতানা’র বিরুদ্ধে স্বর্ন চোরাচালানের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদের দোসর কাস্টমস হাউস সাবেক ডেপুটি কমিশনার রেবেকা সুলতানা’র বিরুদ্ধে স্বর্ন চোরাচালানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে কাস্টমস হাউস ঢাকায় কর্মরত ছিলেন ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর রেবেকা সুলতানা। তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জে বিচার শাখা ও অনেক গুরুত্বপূর্ন শাখায় দায়িত্ব পালনের সময় চোরা চালান সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা রেবেকা সুলতানা।

এআরও কামাল পরকিয়া প্রেমিকের সুপারিশে ও সুপারশো মালোত্রার মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি করেন। যা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো, জসিম নামের একজন যাত্রীর ১৭১ গ্রাম স্বর্ণ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে অন্যের নিকট খালাস প্রদান করেন । ২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ের সুযোগ নিয়ে মহা দুর্নীতির কাজ গুলি করেন যেমন তৎকালীন সময়ে ডিএম টেম্পারিং করে জরিমানা ছাড়া ৫০-৬০ টি স্বর্ণচালান ছাড় প্রদান করেছেন। এছাড়াও গোল্ডেন আজিজের মাধ্যমে সিন্ডিকেট ধরা পড়া বিভিন্ন চোরা চালান করে অবৈধ সুবিধা প্রদান করেছেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যাত্রী ছাড়া স্বর্ণচালান ছাড় প্রদান করেন। করোকালীন সময় রেবেকা অফিস কম লোক উপস্থিত থাকতে বলে ২ জন যাত্রীর নিকট হতে আটককৃত ১ কেজি করে ২ টি চোরাচালানে ডায়মন্ডকে পাথর বানিয়ে ছাড় প্রদান করেছেন। রেবেকা সুলতানা এছাড়াও লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব থাকাকালে ব্যাপক দুর্নীতি করেন। তৎকালীন সময়ে দুর্নীতি মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে বিপুল সম্পদের পাহাড় করেছেন। রেবেকা সুলতানা স্বর্ন ছাড়ে সরকারের ১০০ কোটি ক্ষতির হয়েছে। এছাড়াও এআরও (বর্তমানে আর ও) কামাল এর সঙ্গে রেবেকা সুলতানার অবৈধ সম্পর্ক তৎকালীন সময় টপ অব দ্যা কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট ছিল। এআরও কামালের (বর্তমানে আর ও) স্ত্রী আপনার বিরুদ্ধে তৎকালীন কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন এর নিকট নালিশও করেন যা ঢাকা কাস্টমস্ হাউসের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিষয় জানেন । বর্তমানে রেবেকা সুলতানা ডেপুটি কমিশনার ভোল পাল্টিয়ে ঢাকা কাস্টমস্ বন্ড দক্ষিন কমিশনারেটে পোষ্টিং বাগিয়ে নেন, পর আবার সেই একই দুর্নীতি মহাউৎসব শুরু করছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার এলাকার গোপালী যদি এখনও ঢাকায় বহাল তবিয়তে থেকে যান তাহলে ছাত্র ও জনতার রক্ত বিফলে চলে যাবে। তিনি এখনও পর্যন্ত ঢাকার বাহিরে বদলী হননি। রেবেকা সুলতানা ডেপুটি কমিশনার হিসাবে যে কয়টি কর্মস্থলে চাকরি করেছেন প্রতিটি কর্মস্থল কোন কোনও অফিসারের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়েছেন, এটি তার একটি নেশা যা ভুক্তভোগীরা পিওন ও চাপরাশিরা জানান। রেবেকা সুলতানা ডেপুটি কমিশনার ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আই ব্লকে একটি বাড়ি আছে, বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, ঢাকায় উত্তরায় দুইটি ফ্ল্যাট ও বাড্ডা গুলশান লিংক রোডে ছয় তলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া নামে বেনামে অঢেল সম্পদের পাহাড় রয়েছে রেবেকা সুলতানার।