প্রধান উপদেষ্টা ব্যর্থ হলে বিএনপিই ভোটের তারিখ দিয়ে দেবে : শামসুজ্জামান দুদু

মানব কথা: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আপনি ভোটের তারিখ দিতে না পারলে আমরা একটু অপেক্ষা করবো। তারপর আমরাই ভোটের তারিখ দিয়ে দেবো। কারণ আমাদের নেতার স্পষ্ট বার্তা, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।’
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপেদেষ্টার সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার আগে বাংলাদেশ স্লোগান দিলেও অনেকের কাছে সবার আগে গ্রামীণ ব্যাংক। অনেকের কাছে ট্যাক্স দেবো না ছয় বছর। অনেকের টার্গেট জাপানে মানুষ পাঠানো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের সমালোচনা করেছি, কিন্তু এখনো বিরোধিতা করি নাই। তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা স্থবির হয়ে পড়েছিল। অনেকে সেদিন বাইরে বের হতে পারে নাই। যারা ঢাকায় ছিলেন তারা দেখেছেন। অনেকে মিডিয়ায় দেখেছেন, যদিও মিডিয়ায় সবটা আসে না। আর একজন দেখেছেন জাপানে বসে।’
বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠেই আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন চূড়ান্ত ডাক আসবে সেদিন আপনাদের আর কিছু করার থাকবে না।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি নেতাদের গোষ্ঠী উদ্ধার করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে শামসুজ্জামান দুদু প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন শিবির ডিজিটাল বাহিনী সৃষ্টি করে দলের মহাসচিব, আব্বাস ভাইকে অপমান করেছে, আর আমার পেছনে তো লেগেই আছে। বিএনপির ১৭ বছর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন না করলে এক মাসের আন্দোলনে হাসিনার পতন হতো না।’
জামায়াতের সমালোচনা করে দুদু বলেন, ‘তারা ইলেকশনের বিরোধিতা করছে। আবার ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়া শেষ। আমি বলি, তাদের প্রার্থীর স্ত্রীরাও যদি প্রকাশ্যে ভোট না দিয়ে গোপনে ভোট দেয়ার সুযোগ পায়, তাহলে তাদের ভোট ধানের শীষ পাবে। কারণ পরিবারে তাদের ওপর যে অত্যাচার করা হয় তা অবর্ণণীয়।’
তিনি বলেন, ‘শোনা গেল ছাত্রনেতা হান্নান মাসুদ প্রাডো গাড়িতে চড়ে। কই পাইলো? জানা গেলো, জামায়াত দিয়েছে। আমাদের ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ওরা হত্যা করেছে।’
‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ আলোচক ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগার লবী।
আরো বক্তৃতা দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম।