জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে জামায়াত

সময়: 2:23 pm - July 31, 2025 |

মানব কথা: জুলাই সনদের বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপি বলছে, “এর (জুলাই সনদ) কোনো আইনি ভিত্তি নেই,” কিন্তু আমরা মনে করি, শুধু প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টার মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সে জন্য আমরা কমিশন এবং সরকারের বিরুদ্ধে কমপেনসেট মামলা করব।’ আইনগত ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে জামায়াত স্বাক্ষর করবে না বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২৩ দিনের সংলাপের দুপুরের বিরতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

সংলাপে সময় ব্যয় ও কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা এত কষ্ট করলাম, আপনারা কাভার করলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এসবের কোনো মূল্য থাকবে না। বাস্তবায়ন না হলে শপথ করারও কোনো মূল্য থাকে না। তাই বাস্তবায়নটাই মুখ্য।’

জামায়াত নায়েবে আমির বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া এই চার্টার জিরো হবে। আমরা পরিষ্কার বলেছি, আইনগত ভিত্তি ছাড়া সই করব না। এই সরকারের মেয়াদেই এটি কার্যকর করতে হবে। কাল থেকেই এটা সম্ভব।’

তাহের বলেন, ‘আজ আমরা যে সংখ্যক ‘‘নোট অব ডিসেন্ট’’ দেখেছি, তা আগের ২২ দিনে দেখিনি। তবুও এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। একজন ‘‘না’’ বলতেই পারেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষে থাকলে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পায়।’

তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেয়া এখনই সম্ভব। অলটারনেটিভ আছে, উদাহরণ আছে। যারা বলছেন এটা এখন দেয়া যাবে না, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।’

তাহের বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করছি….আমরা আইনগত ভিত্তি চাই। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টারে স্বাক্ষর করার অর্থ নেই। এমন সনদে সই করার আর না করার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না।’

তাহের বলেন, ‘আইনি ভিত্তি না দিলে যদি (পরবর্তী) সরকার বাস্তবায়নের পথে না এগোয়, তাহলে আমরা এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে অসমাপ্ত মনে করব। সই করার পর যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এটা এক ধরনের প্রহসন। সুতরাং আমরা সরকার ও কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি….তারা যেন নিজেদের ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করে।’

হুঁশিয়ার করে তাহের বলেন, ‘আমরা জাতির সাথে আর কোনো তামাশা হতে দেব না।’

জামায়াতের নায়েব আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘লোয়ার হাউস অব ইয়ার এবং আপার হাউস অব পিয়ার…এটা কেন চাই তা আমরা আগেও ব্যাখ্যা করেছি। গত ৫৪ বছরের নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাংলাদেশে দলীয়করণ, দখল, দূষণ, ভুয়া নির্বাচন ও রাতের নির্বাচনসহ নানা অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে আমরা মনে করি, এখন সারা বিশ্বে প্রায় ৯০টি দেশে যেভাবে পিয়ার পদ্ধতি আছে, বাংলাদেশেও তা প্রয়োজন।’

তাহের বলেন, ‘পিয়ার পদ্ধতি এখন আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া….প্রতিটি মহাদেশেই আছে। গরিব-ধনী বা কালো-সাদার ভেদে নয়, এটি একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। এমনকি অনেক দেশ প্রতিবছর নতুনভাবে এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে।’

তাহের আরো বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলেছি…..আমরা পিয়ার চাই এবং অধিকাংশ দলও পিয়ারের পক্ষে। কমিশন বিরতির পর সিদ্ধান্ত দেবে বলেছে। আমরা আশা করি, তা ইতিবাচক হবে।’

নায়েবে আমির বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের মত নয়…উচ্চকক্ষ হলো একটা ‘‘ব্যালেন্স অব অথরিটি’’। মূল আইন প্রণয়ন হবে নিম্নকক্ষে, আর উচ্চকক্ষ হবে গাইডিং ও কন্ট্রোলিং বডি।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর