ট্রাম্পের জাতিসংঘ ভাষণের আগে টেলিকম চক্রান্ত ঠেকালো মার্কিন গোয়েন্দারা

মানব কথা: নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনের আগেভাগে বড়সড় টেলিকম নেটওয়ার্ক ষড়যন্ত্র রুখে দিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। টেলিকম হুমকির অবসান নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগে ঘটে, যেখানে বিশ্ব নেতারা সমাবেশের আগে বক্তৃতা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম জাতিসংঘের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যখন গাজা সিটিতে মুহুর্মুহু হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনা।
বলা বাহুল্য, বারবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছেন ধনকুবের প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যেই টেলিকম নেটওয়ার্ক ষড়যন্ত্র। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ লক্ষ সিম কার্ড এবং ৩০০টি সিম সার্ভার। জাতিসংঘের সভা হচ্ছে যেখানে, তার ৩৫ মাইল (৫৬ কিলোমিটার) ব্যাসার্ধের মধ্যে এই ডিভাইসগুলো সক্রিয় করে মার্কিন কর্মকর্তাদের টেলিফোন হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
গোয়েন্দা কর্তাদের বক্তব্য, বাজেয়াপ্ত করা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আক্রমণ করা যেতে পারত। যদিও তার আগেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া গিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তা অটুট রাখা গিয়েছে।
ডিভাইসগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানগুলো বিদেশী হুমকি এবং ফেডারেল আইন প্রয়োগকারীর পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে সংযোগের ইঙ্গিত দেয়। ইউএস সিক্রেট সার্ভিস ডিরেক্টর শন কুরান বলেছেন, নেটওয়ার্কের দ্বারা সৃষ্ট হুমকি গুরুতর। তিনি বলেন, “ডিভাইসের এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমাদের দেশের টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করা যায় না।” তিনি যোগ করেন, আসন্ন ঝুঁকিগুলো “অবিলম্বে তদন্ত, ট্র্যাক ডাউন এবং নষ্ট করা হবে।”
তদন্তটি সিক্রেট সার্ভিসের অ্যাডভান্সড থ্রেট ইন্টারডিকশন ইউনিটের নেতৃত্বে করা হচ্ছে, উচ্চ-স্তরের হুমকি মোকাবেলার জন্য তৈরি এটি একটি বিশেষ বিভাগ। সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে যে তদন্তটি বেশ কয়েকটি ফেডারেল এবং স্থানীয় সংস্থা দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন, ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস, ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অফিস এবং নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট সবই প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।