ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু আজ
মানব কথা: সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস। ইতোমধ্যে প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস রুটিনসহ শ্রেণি কার্যক্রমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানা গেছে।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে গত ২ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ক্লাস চালুর কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মাস (১১২ দিন) বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে ৭ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে কোটা আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হল ও অফিস কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাস শুরু করা যায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। ২৭ আগস্ট নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ১৩ সেপ্টেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, সভায় ডিনস কমিটির সুপারিশের আলোকে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস (১ম বর্ষ ব্যতীত অন্য সকল বর্ষের) শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিভাগ, ইনস্টিটিউট, অনুষদ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রস্তাবনাসমূহ, যা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সে ব্যাপারে সিন্ডিকেট সভাকে অবহিত করা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।