ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর গণপূর্ত অধিদপ্তরের মোঃ শহিদুল আলম দশ বছর লিয়েন ছুটি কাটিয়ে বে-আইনিভাবে চাকরি তে বহাল থেকে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন
মানব কথা: গণপূর্ত প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসর হালুয়া রূটি খাওয়াঅতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) শহীদুল আলম ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহীনি নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছেন।
জানা গেছে, এই শহীদুল আলম ফ্যাসিবাদের পুরোটা সময় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দশ বছর একাদিক্রমে লিয়েন ভোগ, বদলী ও নিয়োগ বানিজ্য, এপিপি ও থোক বরাদ্দ বানিজ্য; বেনামে ঠিকাদারী; সরকারি সম্পত্তি দখল; বিদেশে অর্থ পাচার সহ নানা বিধ অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন।
তিনি শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার খ্যাত সাবেক পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের খুব এক নিষ্ঠ ভৃত্য ছিলেন। একই ভাবে তিনি পরবর্তী সচিব কাজী ওয়াসী উদ্দিন এর সময়েও মোসাহেবী করে গেছেন এবং জনগনের করের টাকা গোপালী তোষনে ব্যয় করে গেছেন। এই ধুর্ত শহীদুল সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নিয়ে একটি নিজস্ব টিম গঠন করেছেন। তার টিমের বাহিরে তিনি কাউকে ঢাকায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে টিকতে দেন না।
ফ্যাসিবাদ বিদায়ের পর পেশাজীবি সংগঠন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের চাপের কারনে পূর্ত প্রশাসন চিহ্নিত কয়েকজন আওয়ামী মাফিয়া কর্মকর্তাকে ঢাকার বাহিরে বদলী করতে বাধ্য হয়। ফলে ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ; নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর গণপূর্ত বিভাগ) মাহাবুব; আমানুল্লাহ সরকার (মহাখালী); ইস্কান্দর আলী সহ কয়েকজনকে ঢাকার বাহিরে বদলী করতে বাধ্য হয়। আবার সোহরা ওয়ার্দী; আজমুল হক মূন সহ কয়েকজন মাফিয়া কে ঢাকার ফিল্ড থেকে প্রত্যাহার করে ভবনে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এই চাপ অব্যাহত থাকলে শেরে বাংলা নগর ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমানকে ৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২৪.-১৪৪২ স্মারকে সিলেট গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হয়। কিন্তু এই মুস্তাফিজ ছাড়া বাকি সকলে যথা সময়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করলেও তিনি এখনো সিলেটে চার্জ নেন নি। আগের কর্মস্থলে বসে দেদারসে ওটিএম এর মহোৎসব করে চলেছেন। করে ছলেছেন আওয়ামী পান্ডাদের পুনঃর্বাসন। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও উপদেষ্টা সহ মন্ত্রণালয়ের চোখে ধুলা দিতে মুস্তাফিজকে নামকাওয়াস্তে বদলী করলেও তা কার্্যকর করছেন না শহীদ। তিনি আশায় বসে আছেন তার আপা শেখ হাসিনা ‘চট’ করে ঢুকে যাবেন আর তিনি ফট করে মুস্তাফিজের বদলী আদেশ বাতিল করে দিবেন।
মুস্তাফিজ ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডঃ এম এ রশীদ হল শাখা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বুয়েটের ২০০৫ ইন্টেকের পুরকৌশল বিভাগের এই ছাত্র রিপন-রোটন কমিটিতে পরবর্তীতে হল শাখা ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে উঠেন। বুয়েটের সাবেক কুখ্যাত ছাত্রলীগ ক্যাডারঅমিত কুমার চক্রবর্তী (যিনি আই ই বি এর বিনা ভোটের নেতা এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী) এর মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর কাছে প্রশিক্ষন নেন। সেখান থেকে চাকুরী জীবনের শুরুতেই আরেক ‘র’ এর এজেন্ট শঙ্কর কুমার মালোর সহায়তায় একের পর এক ভালো ভালো পোস্টিং বাগিয়ে নিতে থাকেন। সাবেক পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার এর আশীর্বাদে শেরে বাংলা নগর ৬, মহাখালী, নগর গনপূর্ত উপবিভাগে পোস্টিং বাগিয়ে নেন। এমন একজন দুর্ধর্ষ ছাত্রলীগ ক্যাডার কে শহীদ বেছে নিয়েছেন নিজের স্ট্রাইকার হিসাবে। মুস্তাফিজ পদোন্নতির পর প্রথম পোস্টিং হিসেবে ঢাকার রক্ষনা বেক্ষন গণপূর্ত বিভাগ পেয়েছেন শহীদের পছন্দের পাত্র হিসাবে। রক্ষনাবেক্ষন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা কালে শহীদের পছন্দের লোকদের কাজ দিতে গিয়ে তিনি শতভাগ ওটিএম করেন। এপিপি বহির্ভূতভাবে বকেয়া করেন। সবুজের এপিপি গুলো মেইন্টেনেন্সের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে, পদাধিকার বলে ইজিপি পোর্টালে সরাসরি শহীদই অনুমোদন দেন। একই ভাবে দরপত্র গূলোও তিনিই অনুমোদন করেন। কাজেই এক্ষেত্রে এপিপির মোট কাজের মূল্যমানের হিসাবে শতকরা সর্বচ্চ বিশ ভাগ (২০%) ওটিএম করতে পারার যে সীমা দেয়া আছে, শহীদ নিজে স্বজ্ঞানে সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।২০২২-২৩ ও ২৪অর্থ বছেরে রক্ষনাবেক্ষন গণপূর্ত বিভাগে, ইইপিতে১১৬ টি কাজ ( ইজিপি দরপত্র আইডি নম্বরঃ ৯২২৪৪৩, ৯২২৪৩৪, ৯৯৯৪৩৯,৯২২৪৪০, ৯২২৪১৮,৯২২৪৩০, ৯২৫১০৬, ৯২২৪৪১, ৯২২৪৩১, ৯২২৪৩৭, ৯২২৪৩৮, ৯২২৪৩৬, ৯২২৪৪৭, ৯২৫১০৯, ৯২২৪৩২, ৯২২৪২৯, ৯২২৪২৩, ৯২২৪২৪, ৯২২৪২৫, ৯২২৪২৬, ৯২২৪২৭, ৯২২৪২৮, ৯২২৪১৯, ৯২২৪২০, ৯২২৪২১, ৯২২৪২২, ৯২২৪১৭, ৯২২৪১৪, ৯২২৪১৫, ৯২২৪১৬, ৯২২৪১০, ৯২২৪১২, ৯২২৪১৩, ৯২২৪০৭, ৯২২৪০৮, ৯২২৩৯৯, ৯১৭৯৪৫,৯১৭৯৩০, ৯১৭৯৮১, ৯১৭৯৪৭, ৯১৭৩২৪, ৯১৭৯৩১, ৯১৭৯৪৭, ৯১৭৩২৪, ৯১৭৯৩১, ৯১৭৯৩৫, ৯১৭৯৩৯, ৯২০০৪৫, ৯১৭৯৪৪, ৯১৭৯৪৯, ৯১৭৯৫০, ৯১৭৯৪৬, ৯১৭৯৪১, ৯১৭৯৬৫, ৯১৭৯৬৬, ৯১৭৯৬৭,৯৪৮১৭৩, ৯৪৮১৭৫, ৯৪৪৪৬৬, ৯৪১৩৬৮, ৯৪১৩৪৭, ৯৪১৩৪৬, ৯৪১২০৫, ৯৪১১৮৪, ৯৪৩৯০৩, ৯৪৪৪৬০, ৯৪৪৪৬২, ৯৪৪৪৬০, ৯৪৪৪৬১, ৯৪৪৪৬২, ৯৪৪৪৫৮, ৯৪১৩৭৯, ৯৪১৩৭৩, ৯৪১৩৬৪, ৯৪১৩৪২, ৯৪১২০১, ৯৪১১৯৯, ৯৪১৩৭৫, ৯৪১১৯৯,৯৪১৩৭৫, ৯৪১১৯৬, ৯৪১৩৮৯, ৯৪১৩৮২, ৯৪১১৯৩, ৯৪১৩৮৯, ৯৪১৩৯১, ৯৪৩৯২২, ৯৪১১৮০, ৯৪১১৭৬, ৯৪৩৯১২, ৯৪১১৭০, ৯৪১৩৯২, ৯৪১৩৯৩, ৯৪৩৯১০, ৯৪৩৯১১, ৯৪৩৮৮৯, ৯৪১৩৯৪, ৯৪১৩৯৫, ৯৪১৩৯৬, ৯৪১৩৯৭, ৯৪১৩৯৮, ৯৪১১৮১, ৯৪০২৯১, ৯৪১৫৪১, ৯৪২৮১৭, ৯৪৪৪৪২, ৯৪৪৪৫৩, ৯৪৪৪৫৬, ৯৪৪৪৫৫, ৯৪৪৪৫৯, ৯৪৪৪৬৭, ৯৪১০২৩, ৯৪০৯৬৬) ওটিএম এর মাধ্যমে করা হয়েছে, যে গুলোর অনুমোদন শহীদ দিয়েছেন। রক্ষনাবেক্ষণ বিভাগে যে ক্রমপঞ্জীভূত দায়দেনা/ বকেয়া সৃষ্টি হয়েছে তার জন্যও শহীদ দায় এড়াতে পারেন না। কেননা এপিপির বাহিরে কাজে দরপত্র আহবানের অনুমতি তিনি দেন কোন আইনের বলে?
শহীদ ও সাবেক পূর্তসচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন; প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ মিলে ৪০০ কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। সেই নিয়োগে জন প্রতি ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্তরা সকলেই গণভবন থেকে সরবরাহ কৃত তালিকা ভুক্ত। এই দুর্নীতির টাকা তিনি দেশে শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় নিজে পৌছে দিয়েছেন, বড় একটা অংশ চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুর গিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দিয়ে এসেছেন। এ নিয়েগত ১৮ জানুয়ারি, জাতীয় দৈনিক কালবেলা তে ‘ গণপূর্তে১৬৯ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল গায়েব। জিডিতেই দায় এড়ানোর চেষ্টা ‘ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে জানা যায় ২০২৩ সালের ২০ ও ২৭ মে, ১৮ থেকে ২০ তম গ্রেডের ৬ ক্যাটাগরির ১৬৯ টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৪ জুন থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু তিন মাসেও সেই নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আলমের দুরভিসন্ধির কারনে। ঐ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে তিনি মৌখিক পরীক্ষার রেজাল্টের ১৫ টি সিলগালা করা খামের একটি গায়েব করে দেন মর্মে সংবাদ সূত্রে জানা যায়। সংবাদ সূত্রে আরো জানা যায়, সিলগালা করা খাম গুলো নিয়োগ কমিটির আহবায়ক এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সংস্থাপন ও সমন্বয় মোঃ শহীদুল আলমের নিকট ট্রাঙ্কে তালা বদ্ধ ছিল, অন্য কারও পক্ষে এই ট্রাঙ্ক কোথায় রাখা ছিল তা জানা সম্ভব নয়। সংবাদ সূত্রমতে ২৮ নভেম্বর,২০২৩ রেজাল্ট এর খাম হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হলেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শাহবাগ থানায় সাধারন ডায়েরী(জিডি) করা হয় এই সময় এর মধ্যে অধিদপ্তর বিষয় টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। মিডিয়া কে ম্যানেজকরতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঢালেন। স্টাফ অফিসার মাহফুজ। মিডিয়া মাফিয়া খ্যাত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সোহরাওয়ার্দীর মাধ্যমে লেনদেন সারেন।
এবিষয়ে সংবাদ কর্মীরা ততকালীন মন্ত্রী রম উবায়দুল মুক্তাদিরকে প্রশ্ন করলে তিনি তদন্তের আস্বাস দিলেও, মোটা অঙ্কের ঘুষ খেয়ে কোন ব্যবস্থা নেন নি। শহীদের রুম পর্যন্ত পৌছাতে যেকোন ব্যক্তিকে কমপক্ষে ২টি পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড দরজা পেরিয়ে যেতে হয়, সেখানে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরন ব্যবস্থা রয়েছে। আর পুরো পূর্ত ভবনই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। তাহলে ঘটনা সনাক্তে কেন সিসিটিভি ফুটেজ কেন দেখা হলোনা, তা সন্দেহের অবতারনা করে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি এই কাজে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সংস্থাপন নন্দিতা রাণী শাহা ও সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নূর রাজি না থাকায়, শহীদ ও সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসান যোগশাজসে এই চুরির ঘটনা ঘটান। এই কাজের পুরস্কার হিসাবে মাহমুদুল চোরাকে, শেরে বাংলা নগর ১ এ পদায়ন করা হয়।
ঠিক কাছাকাছি সময়ে ২৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ পরীক্ষায় শহীদ নিজে টিএনটি ল্যান্ড ফোন থেকে এবং WhattsApp ব্যবহার করে পছন্দের প্রার্থীদের বেশী নম্বর পাইয়ে দিতে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। দুই একজন কর্মকর্তা এ ধরনের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে যখন সারাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল সেই সময়ে এই পরীক্ষা গ্রহনের ফলে অনেক পরীক্ষার্থীই অংশ নিতে পারেনি। এই নিয়োগেও শহীদ, ডামি মন্ত্রী ভারতের চর উবায়দুল মোক্তাদিরকে কয়েকশ কোটি কামানোর ব্যবস্থা করে দেন। ফলে শহীদ তার প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেন ।আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ করছি, শহীদুলআলম অধিদপ্তরে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই প্রধান প্রকৌশলী জনাব শামীম আখতারের একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে প্রমান করে বাগিয়ে নিয়েছেন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমন্বয়ের পদ। পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন অতিরিক্ত অতিরিক্তপ্রধানপ্রকৌশলী সংস্থাপন ও সমন্বয়, যদিও তার চাকুরী টেকা নিয়েই রয়েছে নানা প্রশ্ন, একারনেই তার পদোন্নতিটিও প্রশ্নবিদ্ধ। । মূলত শামীম আখতারকে কাঠের পুতুলের মতো বসিয়ে তিনিই ডিফেক্টো চীফ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ব্যাপক বদলী বানিজ্য চালাচ্ছেন। তবে তিনি যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন তা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বৈকি। অতিরিক্তপ্রধানপ্রকৌশলী সংস্থাপন ও সমন্বয় থাকার সুবাদে পরিত্যক্ত সম্পত্তি তার অধিভুক্ত। তিনি বরিশালে পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলের জন্য আট বার সরকারী খরচে সফর করেছেন। প্রয়োজন না থাকা সত্বেও বরিশালে মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন (এ পিপি) এর বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই অর্থ তিনি আইন জীবিদের ব্যক্তিগত উপঠৌকন ও জুডিশিয়ারির কয়েকজন কে ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে রাখতে ব্যয় করেন। বরিশালের তখনকার নির্বাহী প্রকৌশলী অলিভার গুড্ডাতার এ কুকর্মে সহযোগিতা করতে রাজি হননি। অলিভার সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের ছেলেকে অনৈতিকভাবে কাজ পাইয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে নিবর্তন মূলক বদলী করে সেখানে ওবায়দুল কাদেরের আস্থাভাজন কামরুল কে পদায়ন করেন। কামরূল বরিশালে পোষ্টিং পেতে শহীদুল আলম কে দুই কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন এবং এপিপির টাকা বাড়িয়ে নিতে ২৫% টাকা দিয়েছেন। এই কামরুল কে দিয়ে স্বার্থ স্বিদ্ধির পরে আবার টেন্ডার বানিজের জন্য তাকে শহীদ নোয়াখালীতে পোস্টিং দেন।
এপিপি নিতীমালা নিয়ে ভন্ড শহীদের দ্বৈতনীতি অবলম্বন করেছেন। ঘটা করে সভা করে সকল নির্বাহী প্রকৌশলীকে সতর্ক করলেও, কয়েক জনের জন্য বিশেষ দায় মূক্তি দিয়ে রেখেছেন। তার ক্যাম্পের বাহিরের কর্মকর্তাগন নিয়ম মেনে কাজ করার পরও শহীদ গঙ্গের মিডিয়া সন্ত্রাসের স্বীকার হচ্ছেন, ধারাবাহিক মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন।অতচ তার ক্যাম্পের কর্মকর্তা গণ শতভাগ ওটিএম করেও বহাল তবিয়তে আছেন। বছরে তাকে চার কোটি টাকা বখরা দিলে তবেই মিলে এই দায়মুক্তির সুযোগ। সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও এদের সাথে রয়েছে দারুন সখ্যতা।
শহীদের আরেক শাগরেদ সম্পদ গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলই নাসির উদ্দিন। এই নাসির উদ্দিন চরম দূর্নীতিবাজ, অদক্ষ এক ফাপরবাজ। নাসির মতিঝিলে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী থাকা কালে ব্যাপক চুরি করে নিম্ন মানের কাজ করে ঠিকাদারের সাথে টাকা ভাগাভাগি করেন। ফলে এলোটি গন চরম ভোগান্তিতে পড়েন। প্রতিটি বাসার সকল দরজা খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছিলো। এ নিয়ে এই বছর প্রথম আলো পত্রিকায় ৬ জুলাই ২০২৩, “ ছিটকিনি লাগেনা , দেয়ালে শেওলা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ কাজের ঠিকাদার জামাল এন্ড কোম্পানিকে অনৈতিক সুবিধা দিতে নাসির এই অপকর্ম করেন । অথচ এমন দূর্নীতিবাজরাই শহীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। শহীদকে ২ কোটি টাকা দিয়ে এপিপি বাড়িয়ে নিয়ে সেই টাকা গচ্চা দিয়ে নিজে কোন মতে মতিঝিলে তার পাপ ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সম্পদ বিভাগের যে অধিক্ষেত্র তাতে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি টাকাও খরচ করার জায়গা নেই বলে সেখানে পূর্বে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার সূত্রে আমাদের জানিয়েছেন। তাহলে বাকি টাকা যে শহীদের বাহারি টাই কিনতে ব্যবহৃত হয় সন্দেহ নেই। তাছাড়া নাসির এখন এলেনবাড়ি কোয়াটারের মাছ চুরিতেও নেমেছেন। এনিয়ে দৈনিক যুগান্তরে ২২/০২/২০২৪ তারিখে সংবাদ প্রকাশ হলে সবাই ছিঃ ছিঃ করছে। একজন কর্মকর্তা কতটা নীচে নাম্লে এমন ছেচড়া কাজ করতে পারে?
শহীদ ও স্টাফ অফিসার মাহফুজ সারাক্ষন আজেবাজে অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক নামধারী দূর্বৃত্তদ্বারা পরিবেষ্টিত থাকেন। এদেরকে দিয়ে অধিদপ্তরে চাদাবাজি চালান। এই দুজন মিলে এপিপি নিয়ে গবেষনা করেন এবং ২০% টাকা নিয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেন। শহীদ নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের মতো একজন লেবাসধারী দুর্বৃত্ত।দাড়ি টুপির বেশে ঘুরে বেড়ানো এক শাহাবাগী চেতনার বাঙ্গু প্রগতিশীল। এক এগারোর কুশীলবদের সাথে সম্পর্কের সুত্র ধরে ফখরুদ্দিন -মইনুদ্দিন সরকারের সময়ে প্রধান উপদেশটার কার্যালয়ের এসডিই বনে যান। সেই সময়ে তিনি ধরে ধরে বিএনপি জামায়েত পন্থী অফিসারদের দুদকের হাতে তুলে দিয়েছেন। পরে এডিবি ( Asian Development Bank) এ লিয়েন নিয়ে চলে যান, কিন্তু তখনও দুই জায়গায় বেতন উত্তোলন করে ধরা খান। ফলে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির সদর দফতর থেকে ততকালীন প্রধান প্রকৈশলী হাফিজুর রহমান মুন্সীর কাছে শহীদের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। সে যাত্রায় ততকালীন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদের প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত ধামাছাপা দেন। হেলালুদ্দীন আহমেদের বাড়ি কক্সবাজার হওয়ায় শহীদ তার স্নেহ ভাজন ছিলেন। পরে তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব;স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হলে শহীদের প্রভাব প্রতিপত্তি আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া প্রাপ্যতার অনেক বেশি অতিরিক্ত সময় , প্রায় দশ বছর তিনি লিয়েন কাটিয়েছেন। ফলে তার চাকুরি থাকারই কথা না। তার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির ফাইল গায়েব করে ফেলেছেন। ফ্যাসিবাদি সচিবদের ও মন্ত্রীদের টাকা ছিটিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেছেন।
প্রভাব খাটিয়ে তিনি পররাষ্ট্রে মন্ত্রণালয়ের কাজে এক বছরে সাত বার সরকারি সফরে বিদেশ গিয়েছেন, অথচ বিধিমোতাবেক তা ঢাকা মেট্রোপলিটন জোন এর কর্মক্ষেত্র। তিনি কোন ভাবেই প্রকল্প সংশ্লিষট না হওয়া স্বত্বেও কেবল বিদেশে টাকা পাচার করতে এই সুবিধা নিয়েছেন।
২০১৮ নিশিরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সাথে দুবাই আন্তর্জাতিক এক্সপোতে গিয়ে তিনি সেখানে ভিলা কিনেছেন এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের সাথে আজিজ পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশয়ে বৈঠক করে এসেছেন। শহীদ যখন দুবাই যান তখন অলঅরেডি দুবাই এক্সপো শেশ হয়ে গিয়েছিলো, তারপরও তিনি ঘুষের টাকা পাচার করতেই জনগনের করের টাকায় প্রমোদ ভ্রমন করে এসেছেন।
দশ বছর আগে হিপ রিপ্লেস্ম্যান্ট সার্জারি করিয়েছেন বিদেশ থেকে , এবছর ষাট লক্ষ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে যেয়ে আবার চিকিৎসা করে এসেছেন। এতো সাধু তা এতো টাকা পান কোথায়? নাকি তার আলাদ্বীনের জ্বিন আছে? কথিত আছে খুনি হাসিনার সময়ে ঢাকা শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে দায়িত্বপালন করা নগর গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব সিঙ্গাপুরে শহীদের পশ্চাতদেশে শল্যচিকিতসার ব্যায়ভার বহন করেছেন,এক কোটি টাকা খরচ করে তার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ নিয়মিত করনে কাজ করে দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর মাহাবুব সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারেরও খুব স্নেহভাজন ছিলেন। মাহাবুব ঢাকা ডিভিশন ৪ এ থাকার সময় হাসান মোল্লাকে ক্যাম্পাসে অস্ত্র রাখার জন্য ৩ টি কক্ষ দিয়ে দেন। তিনি শাহা বুদ্দিন চুপ্পুর ছেলে রনির ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ফ্যাসিবাদ পতনের পর সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ও পরে আইন সচিবকে ধরে টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নাগরিক সমাজের চাপের মুখে ফ্যাসিবাদের দোসর মাহাবুব কে শরিয়তপুর বদলী করতে বাধ্য হলেও তিনি সেখানে নিজের লোক সেট করে দিয়েছেন। তিনি প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারটি বাগিয়ে নিতে সুকৌশলে সব জায়গায় নিজের লোক সেট করছেন। ইডেন গনপূর্ত বিভাগে ২০২২ সালে সাত্তার কে সেট করেছেন। এই সাত্তার আপাদমস্তক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লার বাহারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সিরাজগঞ্জ জেলার এই কর্মকর্তা চাকুরি জীবনে পূরোটাই কবির বিন আনোয়ারের আশীর্বাদ পূষ্ট ছিলেন। শহীদ পুরো মন্ত্রনালয় কব্জায় নিতে ফয়সাল হালিমকে সরিয়ে দিয়ে সাত্তারকে নিয়ে আসেন। একই কারনে ২৭ বিসিএস এর মইনুল কে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। মইনুল তার অধীনে চট্টগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ গণপূর্ত বিভাগে ছিলেন বিধায় দুজনে মিলে নুসরাত হোসেনের মাধ্যমে ব্যাপক টেন্ডার বানিজ্য করেন। মইনুল কে ঢাকায় আনতে দেড় কোটি টাকা নূসরাত হোসেনের মহাখালী ডিওএইচ এস এর বাসায় লেন্দেন হয় ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে। কিন্তু বেটে বলে না মেলায় অইনুলকে এতদিন ধৈর্য ধরতে হয়েছে। মেডিকেলের আজমুল হক মুন; ঢাকা ডিভিশন ৪ এর মাসুদ রানা ও তার লোক। আরেক ছাত্রলীগের গুন্ডা শাহ আলম ফারুক চৌধুরীও তার অর্থের যোগান দাতা। ঘটনা চক্রে ফারুককে বাগেরহাটে বদলী করলেও সেখানে বসিয়ে দিয়েছেন এ এস এম সানাউল্লাহ কে, তিনিও ফ্যাসিবাদের একনিষ্ঠ কর্মী। গোপালী সচিব কাজী ওয়াসী উদ্দিনের ভাগ্নে ৩২ বিসিএস এর কর্মকর্তা মেহেদী হাসানকে শেরে বাংলানগর ২ এ পোস্টিং দিয়েছিলেন। ফ্যাসিবাদ বিদায়ের পর এখনো মেহেদী ঢাকায় টিকে আছেন তার বদান্নতায়। ভারতীয় দালাল, ইসলাম বিদ্বেষী র ম আ উবায়দুল মোক্তাদিরের আত্মীয় রক্ষনাবেক্ষন ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার কবির তার সবচেয়ে বিস্বস্ত ক্যাশিয়ার। তার মাধ্যমে শহীদ দুদুক ও একটি বিশেষ সংস্থার সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন। কায়সার কবির নিজেও ফ্যসিবাদী তালিকায় গণভবনের সেই বিশেষ ৩২ তম বিসিএস এর কর্মকর্তা। এভাবে মতিঝিল, মহাখালী, মেডিকেল সব জায়গায় বংশদবত দাস বসাতে গিয়ে পিডব্লিউ ডি এর মাঠ প্রশাসন কে তিনি অচল মাল পূনর্বাসন কেন্দ্রে পরিনত করে ফেলেছেন।
তিনি সৌদি আরবে একাধিকবার ভ্রমন করে হারাম টাকায় ওমরা করেছেন। শহীদ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের সহায়তায় অর্থ নিয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে এস আলম; সাল্মান এফ রহমান; সামিট গ্রুপের মাধ্যমে শেখ পরিবারের কাছে শত কোটি টাকা পাচার করেছেন।
চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় সরকার যেখানে কৃচ্ছতা সাধনের নীতি গ্রহন করেছে, সেখানে তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পূর্ত ভবনে অপ্রয়োজনীয় ইন্টেরিয়র কাজের মহোৎসব করে চলেছেন। এখন আবার অডিটোরিয়াম সংস্কারের ফন্দি এটেছেন। মূলত ইন্টেরিয়র ফার্ম, ঠিকাদার, সাপ্লাইয়ার সবার সাথে তার মোটা অঙ্কের গোপন লেন্দেন রয়েছে। এভাবে তিনি নানা কৌশলে যে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তার বড় একটি অংশ সরকার বিরোধি আন্দোলন চাঙ্গা করতে দান করছেন।শহীদ কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ী বদীর আত্মীয়।
বিধি বহির্ভুত ভাবে একাধিক্রমে দশ বছর লিয়েন ছুটি ভোগ করায় চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী তার চাকুরিই থাকার কথা নয়। তার পরেও টাকার জোরে সব কিছু ম্যানেজ করে ফ্যাসিজনের দোসর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজে ঢাকায় যুগ যুগ ধরে থেকে বদলী নীতিমালা করে , উপদেষ্টা মহোদয়ের চোখে ধুলা দিয়ে বদলী বানিজ্য করে যাচ্ছে। অধিদপ্তরে ফ্যাসিবাদের বয়ান জারি রাখতে ফি বছর হাসিনা শেখের কবির চাচাকে ডেকে এনে সেমিনার করতেন; কখনো ডঃ নূজহাত; কখনো ডঃ আনোয়ার হোসেন; কখনো অধ্যাপক রহমতুল্লাহ কে ডেকে এনে জোর করে সবাইকে আওয়ামী ভেল্কী বাজি শুনাতেন। চিরঞ্জিব মুজিবের মতো বস্তাপচা ছবি গুলোর প্রদর্শনী বাধ্যতা মূলক করেছেন। ধরে আনতে বললে বেধে আনা বলতে যা বুঝায়, শহীদ নিজেকে অতি আওয়ামীলীগার প্রমান করতে গণপূর্তের মেরামত খাতের বাজেট থেকে মুজিব শত বর্ষ উদযাপনে পর পর দুই বছর নিয়ম বহির্ভুতভাবে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন।
গণপূর্ত প্রশাসনে প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) শহীদুল আলমকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিপ করেননি।