স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে তা ‘অসত্য’ : মাহবুব-উল-আলম

সময়: 1:48 pm - August 19, 2025 |

স্টাফ রিপোটার: সম্প্রতি একটি পত্রিকায় স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে তা ‘অসত্য’ বলে দাবি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, আগের চেয়ে কয়েকগুণ উন্নত এবং পরিসর বাড়ায় আওয়ামী লীগ আমলে নেওয়া উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।

 মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম-দ্বিতীয় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকৃত তথ্য অবহিতকরণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

সচিব বলেন, উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ-প্রথম পর্যায় (১৩১টি) প্রকল্পের আওতাভুক্ত, যার গড় ব্যয় ছিল প্রায় ৫৩ লাখ ৫২ লাখ টাকা।

এটি ছিল সরকারি খাসজমিতে সীমিত অবকাঠামো। ওই অবকাঠামোতে ছিল- একতলা প্যাভিলিয়ন, টয়লেট ব্লক, আরসিসি বেঞ্চ এবং মাঠ উন্নয়ন।

বর্তমান প্রকল্পটি ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ-দ্বিতীয় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত)’ যা বহুল বিস্তৃত অবকাঠামো, জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নসহ ১২৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এর অনুমোদিত গড় ব্যয় ১৪ কোটি ২০ কোটি টাকা, যা পূর্বের চেয়ে কয়েকগুণ উন্নত এবং পরিসর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত।

এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইকবাল হোসেন বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় গড়ে ৩৩৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।

এছাড়া রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট প্যাভিলিয়ন ভবন (৭০’ x ৪০’); পাঁচ ধাপবিশিষ্ট ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাধারণ গ্যালারি (এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা); সীমানা প্রাচীর, ড্রেনেজ, সংযোগ সড়ক, সোলার প্যানেল, চেয়ার সরবরাহসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। যা প্রথম পর্যায়ের ডিজাইন ও বাজেট কাঠামোর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে একেবারেই ভিন্ন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম’ প্রকল্প নামকরণ করে। প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ এবং অনুমোদন হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের গত ২১ মের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ অনুযায়ী। আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এবং বিশেষজ্ঞ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি ব্যয় পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়, যার সুপারিশের ভিত্তিতেই ব্যয়ের যৌক্তিকতা যাচাইপূর্বক অনুমোদন দেওয়া হয়।

ইকবাল হোসেন আরও জানান, জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামোর পরিসর বৃদ্ধি, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ড্রেনেজ সিস্টেম সংযোজন, গ্যালারি নির্মাণ, সোলার প্যানেল নির্মাণ ও পিডাব্লিউডির ২০১৮ এর রেট সিডিউলের পরিবর্তে ২০২২-এর রেট সিডিউল অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর