গনপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলমের দুর্নীতি ও অনিয়মের ভরে পুড়ল সচিবালয়

বিশেষ প্রতিবেদক : প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক স্পার্ক (স্ফুলিঙ্গ) থেকে। সাধারণত সকেট-প্লাগে লুজ কানেকশন (দুর্বল সংযোগ), কেব্লে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ ইত্যাদি কারণে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে থাকে। সচিবালয়ে নিম্নমানের ইলেকট্রিক কাজের কারণেই আগুন লেগেছে বলে অনেকের ধারনা। নিম্ন মানের ইলেকট্রিক পন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনেকের ধারনা । সচিবালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম এর তত্ত্বাবধানে কিভাবে নিম্নমানের পন্য ব্যবহার করা হয়েছে তা জানেন নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম।
এর আগেও আজিমপুর দায়িত্বে থাকাকালে তার অনিয়ম উঠে এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। আজিমপুর থাককালে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির আলমের অপকর্মের শেষ নেই। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায় সচিবালয়ে তিনি বড় অংকের টাকা দিয়ে বদলি হয়ে আসেন, এসেই শুরু করেন নিম্নমানের কাজ যার ফল সচিবালয়ে আগুন লেগেছে।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক স্পার্ক (স্ফুলিঙ্গ) থেকে। সাধারণত সকেট-প্লাগে লুজ কানেকশন (দুর্বল সংযোগ), কেব্লে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ ইত্যাদি কারণে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে থাকে। এই ঘটনায় কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।
আজিমপুর (ইএম বিভাগ-৩) অনিয়মের চিত্র:
দরপত্রের নিময় ভেঙ্গে সরকারি ভবনে আজিমপুর নতুন কলোনীতে ৫৩টি লিফট স্থাপনের কাজ দিয়ে বিপুল সংখ্যক টাকা আত্মসাত করা । যদিও একমাত্র রওশন এলিভেটরই সবচেয়ে দরদাতা। কিন্তু তাদের নথি ঘেটে দেখা যায় কাজ পাওয়ার যে সকল যোগ্যতা থাকা দরকার তা রওশন এলিভেটরের নাই। নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম নিজের লোককে কাজ দিয়েছেন বলে অনেকেই বলছেন।
আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতরে বহুতল মেকানিক্যাল কার পার্কিং শেড নির্মাণ কাজেও অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে ডিপিপিতে ছিলো ২৮৮টি গাড়ি রাখার স্থান তার স্থলে হয়েছে ২৪০ টি । এতে প্রায় ১০/১১ কোটি টাকা খরচ কম হয়। কিন্তু সে টাকা ফেরত না দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে
এছাড়াও আজিমপুর নতুন কলোনীর বয়স হয়েছে মাত্র তিন বছর কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী গত ৫-৬ বছরে রক্ষণাবেক্ষনের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে জানা যায়। নথিপত্র ঘেটে বৈদ্যুতিক সেবা সংক্রান্ত যেসব আবাসিক ভবন বা বাসাবাড়ির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যেসব বাসার কাজের নামে বিল করা হয়েছে অনেক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে বলেন তাদের বাসায় কোন কাজ করা হয়নি । বরং তাদেরকে ডেকে না পাওয়ায় তারা নিজেদের টাকা দিয়েই কাজ করে নেন।