চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতলো পিএসজি

সময়: 6:50 am - June 1, 2025 |

মানব কথা: এই জয়ে শিরোপার ষোলকলা পূর্ণ করলো পিএসজি। চলতি মৌসুমে ঘরোয়া লিগের ট্রেবল আগেই জিতেছে ফরাসি জায়ান্টরা। এবার পেল ইউরোপ সেরার স্বাদও। নবম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়ল ক্লাবটি।

ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতলো পিএসজি। স্বপ্ন হয়ে গেল সত্যি। আগে যা কখনো হয়নি, তাই হলো এবার। আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চুমু আঁকলো ফরাসি ক্লাবটি। রেকর্ড বুক অদলবদল করেই মেতে উঠলো বাঁধভাঙা উল্লাসে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গতরাতে (শনিবার) ইন্টার মিলানকে নাকানিচুবানি খাইয়ে শিরোপা ঘরে তুলে পিএসজি। জয় তুলে নেয় ৫-০ গোলে। ইউরো সেরার এই মঞ্চে এর আগে এতো বড় জয় আর কখনো দেখেনি!

শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনে বসতে কিনা করেছিল পিএসজি। বিখ্যাত সব ফুটবলারদের ভিড়িয়েছিল ডেরায়। ইব্রাহিমোভিচ থেকে সুয়ারেজ, নেইমার, ডি মারিয়া, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে; কে না খেলে গেছেন!

টাকার পাহাড় দাঁড় করিয়ে, কাঁড়ি কাঁড়ি খরচ করেও তবে আসেনি সেই আরাধ্য শিরোপা। ২০২০ সালে যদিও খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, তবে সেবারবায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হয় দলটা।

তবে এবার ক্লাবটি ছিল ভিন্ন ধাতুতে গড়া। খুব বড় নাম নেই, নেই তারার মেলা। কিন্তু লুইস এনরিকে নামের এক জাদুকর টানছেন দলটা। আর তাতেই ধরা দিলো স্বপ্নের সেই আকাঙ্ক্ষিত ট্রফিটা। আর ইউরোপ পেল নতুন রাজা।

এই জয়ে শিরোপার ষোলকলা পূর্ণ করলো পিএসজি। চলতি মৌসুমে ঘরোয়া লিগের ট্রেবল আগেই জিতেছে ফরাসি জায়ান্টরা। এবার পেল ইউরোপ সেরার স্বাদও। নবম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়ল প্যারিসের ক্লাবটি।

যা পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের এটি দ্বিতীয় ট্রেবল। ২০১৫ সালে তার অধীনেই শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জেতে বার্সেলোনা। পেপ গার্দিওলার পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে দু’বার ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়লেন তিনি।

অন্য দিকে সিমনে ইনজাগির অধীনে শেষ তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে হারের মুখ দেখতে হলো নেরাজ্জুরিদের। এক মৌসুম আগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ইন্টার মিলান।

গতরাতে অবশ্য তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি মিলান। প্রায় ৬০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে যেখানে পিএসজি গোলের জন্য ২৩ শট নিয়ে লক্ষ্যে রেখেছে আটটি, বিপরীতে ইন্টারের মাত্র আট শটের দু’টি ছিল লক্ষ্যে!

মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় পিএসজি। ভিতিনিয়ার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডিজায়ের দুয়ে এগিয়ে দেন আশরাফ হাকিমির দিকে। ভুল করেননি হাকিমি, বল জড়ান জালে। নিজে চলে যায় সেজদায়।

২০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ রুখে দিয়ে, তড়িৎ পালটা আক্রমণে ওঠে তারা। এবার গোল করেন দুয়ে নিজেই। দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান ২-০ রেখে স্বস্তি নিয়েই যায় বিরতিতে।

বিরতির পরও একইরকম দাপুটে শুরু করে পিএসজি। এই অর্ধের প্রথম সাত মিনিটে আরো তিনটি শট নেয় তারা, যদিও তা লক্ষ্যে ছিল না। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৬৩ মিনিটে দুয়ে দলের তৃতীয় ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন।

জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টে রেকর্ডবুকে নাম তুলেন ১৯ বছর ৩৬২ দিন বয়সী এই তারকা। তারচেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এই কীর্তি নেই আর কারো। এই গোলের পর তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন এনরিকে।

এরপর কেবল ম্যাচের শুধু আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল। তবুও থামেনি পিএসজির গোল উল্লাস। ৭৩ মিনিটে খিচা কাভারেস্কাইয়া ও ৮৬ মিনিটে মাইয়ুলুর গোল করে শেষ টানেন ম্যাচের।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে বেনফিকার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের (৫-৩) পর এই প্রথম কোনো দল ফাইনালে ৫ গোল হজম করল। রেকর্ড গড়েই শিরোপায় চুমু আঁকলো ফরাসি দলটা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর