মল্লিকার দীঘির পাড় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী চাটখিল মল্লিকা দীঘিরপাড় ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে, সাবেক অফিস সহকারি নুরুল আমিন পাটোয়ারী তার থেকে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন।
এই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মোহাম্মদ আহসান উল্যা চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তদন্ত শেষে, তদন্ত প্রতিবেদনে মোহাম্মদ আহসান উল্যা জানান, পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, অধ্যক্ষ আবদুল মন্নান এর বিরুদ্ধে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা লেনদেনের কোন প্রমাণ বা সাক্ষী পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর ১৯৯ ৭খ্রি. তারিখের গভর্ণিং বডির সভায় সকল শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্বের তথা ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বেতন মওকুফ করা হয়।
বাদী মোঃ নুরুল আমিন পাটোয়ারী, সাবেক অফিস সহকারী এর বক্তব্য। ২০১৫ সালের ১ম সাময়িক পরীক্ষার ৪/৫ দিন পূর্বে আমি ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ৩/৪ দিন অতিরিক্ত সময় পরীক্ষার প্রশ্নপদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিয়ে স্বল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে চা-নাস্তা বাবদ ১০/২০ টাকা হারে সরল মানে টাকা গ্রহন করি আমি গরীব কোন ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে টাকা দাবী করি নাই বা গ্রহন করিনি। এ ১০/২০ টাকা হারে টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ মহোদয় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং প্রায় ৪ মাস পরে আমার থেকে ১০০০০০/-(এক লক্ষ) টাকা ঘুষ নিয়ে আমাকে চাকুরীতে বহাল রাখেন। আমাকে ৪ মাস বরখাস্ত রাখার কারণে আমার মানসম্মানে আঘাত হানে। আমি দীর্ঘ ৩২ বৎসর ৪ মাস অত্র মাদ্রাসায় সুনামের সহিত চাকুরী করি। আমি স্বল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী থেকে এ সামান্য টাকা অতিরিক্ত পাঠদান করে নিয়াছি। ০১/১২/১৯৮৬ থেকে ৩১/১২/১৯৯৬সাল পর্যন্ত আমার প্রাতিষ্ঠানিক বেতন (১০ বছর) পরিশোধিত হয়নি। আমার অজান্তে মাদ্রাসা কমিটি উক্ত ১০ বছরের প্রাতিষ্ঠানিক ভাতা মওকুফের সিদ্ধান্ত নেন।
বিবাদী মো: আবদুল মান্নান, অধ্যক্ষ, মল্লিকার দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসা বক্তব্য। সাবেক অফিস সহকারী, মোঃ নুরুল আমিন পাটোয়ারী ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত ১ম সাময়িক পরীক্ষার ইংরেজী বিষয়ের প্রশ্নপত্র সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেরকে ধারণা দিবে বলে তাদের থেকে ১০/২০ টাকা হারে উৎকোচ গ্রহন করেন। এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষক অধ্যক্ষ বরাবরে অভিযোগ পেশ করেন (দরখাস্ত সংযুক্ত-১)। শিক্ষক ও অভিভাবক নিয়ে এ বিষয়ে সভার আয়োজন করা হয় (দরখাস্ত সংযুক্ত-২)। উক্ত আভিযোগের প্রেক্ষিতে জনাব মো: নুরুল আমিন পাটোয়ারীকে ২৫/০৪/২০২১৫খ্রি তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়। তিনি ২৯/০৪/২০১৫খ্রি. তারিখে জবাব দাখিল করেন। জবাবে তিনি অর্থ গ্রহনের কথা স্বীকার করেন (জবাবের কপি সংযুক্তি-৩। উক্ত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গভর্ণিং বডির ১৯/০৭/২০১৫খ্রি: তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ০৮/০২/২০১৫খ্রি, ভারিখ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করে ইসলামি বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি প্রাপ্তির জন্য আবেদন করার পর অভিযোগকারী জনাব মো: নুরুল আমিন পাটোয়ারী সভাপতি মহোদয়ের নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়ে বাড়ী গিয়ে তাঁর পায়ে পড়েন এবং সাময়িক বরখাস্ত।
বাদী, বিবাদী উপস্থিত শিক্ষকগণের বক্তব্য পর্বলোচনা করে প্রতীয় মান হয় যে, অভিযোগকারীর অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
মোহাম্মদ মতিউর রহমান হেলানী, উপাধ্যক্ষ, মল্লিকার দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসা মহোদয়ের বক্তব্য। মল্লিকার দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অফিস সহকারী, মো। নুরুল আমিন পাটোয়ারী কর্তৃক আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। অপপ্রচারের কারণে অধ্যক্ষ মহোদয়ের মানহানি হচ্ছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।
হুমায়ুন কবির সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজী) এর বক্তব্য। মল্লিকার দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অফিস সহকারী, মোঃ বুরুশ আমিন পাটোয়ারী কর্তৃক আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বার বার বর্তমান অধ্যক্ষের বিরুদ্দে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করায় আমি তীব্র নিন্দা ও মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্দে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের করার আবেদন জানাই।
অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান জানায় , আমি ১৯৯৪ সালে এই মাদ্রাসায় ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করি,পরবর্তীতে আমি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করে , আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং উদ্দেশ্য পনোদিতভাবে মানহানি করায়, আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।