চাটখিলে নিখোঁজের ৪ দিন পর পুকুরে মিলল মাদ্রাসা শিক্ষকের মরদেহ
আনিছ আহম্মদ হানিফ : নোয়াখালীর চাটখিলে পুকুর থেকে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কোনো কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত আবুবক্কর ছিদ্দিক ওরফে ছিদ্দিক উল্যাহ মাস্টার (৮০) উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর গ্রামের (যুগী বাড়ী) মৃত মুন্সি আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় চাটখিল কামিল মাদারাসার সাবেক শিক্ষক ছিলেন।
মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরপুর এলাকার গৌতম লৌদের বাড়ির পুকুর থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে।
এতথ্য নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিদ্দিক মাস্টার গত শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে আধা কেজি করলা কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে চাটখিল বাজারে আসেন। করলা কেনার পর সন্ধ্যার পরে তিনি আর বাসায় পেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন।
না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে পরিবারের সদস্যরা চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর এলাকার গৌতম লদের বাড়ির পুকুরে স্থানীয় কিছু মানুষ জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। তখন তারা ছিদ্দিক মাষ্টারের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে চাটখিল অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত সঙ্গীও এস আইদের নিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের বাম চোখের ওপরে ও গলায় কিছু আঘাত চিহৃ রয়েছে। তবে কিসের আঘাত এই বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ময়না তদন্তের পর আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।