জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা
মানব কথা: জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে সিরিয়া প্রশ্নে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া ইস্যুতে ডাকা জরুরি বৈঠকে এই বাকবিতণ্ডা হয়।
সম্প্রতি সিরিয়ার মুজাহিদ বাহিনী আবার বেশ কয়েকটি এলাকা দখলে নিতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকা তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েও নিয়েছে। এ নিয়ে সিরিয়ার অনুরোধে গতকাল জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক ডাকার প্রতি রাশিয়া, চীন এবং আলজেরিয়া সমর্থন দিয়েছিল।
বৈঠকে কয়েকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য এবং সিরিয়া ও ইরানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বৈঠকের শুরুতেই সিরিয়াবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিনিধি গেইর অটো পেডারসন বলেন, মুজাহিদদের তৎপরতা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তিনি জাতিসঙ্ঘে পাস হওয়া ২২৫৪ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানান।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া সিরিয়ায় মুজাহিদদের পুনর্গঠন এবং মদদ দেয়ার জন্য সরাসরি আমেরিকা ও তার মিত্রদের দায়ী করেন। বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূতও পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মুজাহিদদের হামলার কারণে সিরিয়ার স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৈঠকের সভাপতি এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড সিরিয়া পরিস্থিতির জন্য আগের মতোই রাশিয়া, ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনকে দায়ী করেন। একইভাবে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সিরিয়া সঙ্কটের জন্য রাশিয়া ও ইরানকে অভিযুক্ত করেন।
নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে আরব দেশগুলো সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য আহ্বান জানান।
সূত্র : পার্সটুডে