লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করল ইসরাইল

সময়: 10:11 am - December 12, 2024 |

মানব কথা: লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর খিয়াম থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে তারা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে কাজ শুরু করেছে। দেশটির খিয়াম শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা তারা এখনও দক্ষিণ লেবাননের অন্যান্য এলাকায় নিজেদের সেনা মোতায়েন রেখেছে। যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে লেবাননে সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে আইডিএফের সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে খিয়ামে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে। সেনাবহিনীর পক্ষ থেকে এলাকাটিতে বেসামরিক লোকদের না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এলাকাটিতে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে তারা।

আইডিএফ জানিয়েছে, তারা লেবাননে দক্ষিণাঞ্চল থেকে জানুয়ারির শেষে দিকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

গত ২৭ নভেম্বর থেকে লেবানের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এর পর থেকে উভয় পক্ষ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। চুক্তি অনুসারে, লেবানন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করবে। অন্যদিকে এ সময়ের মধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের পাশাপাশি দক্ষিণে লেবাননের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করতে হবে।

হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় লেবাননের বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালায়। সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনেক আবাসিক ভবন ধসে পড়ে। মাটিতে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। আকাশ ধুলাবালি ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। পুরো লেবানন থেকে ওই দৃশ্য দেখা যায়। এ হামলা হয় মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লাহর বাংকার লক্ষ্য করে। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের এক সপ্তাহ ধরে চালানো হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর আসে।

তারও এক সপ্তাহ আগে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে লক্ষ্য করে পর পর অসংখ্য ওয়াকিটকি এবং পেজার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং তিন হাজার জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। সবশেষ গত ২৭ নভেম্বর থেকে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর