কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

মানব কথা: কুয়েট সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাদের শাস্তি মওকুফের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে খুলে দেয়া হয়েছে ৭টি আবাসিক হল।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাদের শাস্তি মওকুফের সিদ্ধান্ত হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়। এ ছাড়া বিকেলে খুলে দেয়া হয়েছে ৭টি আবাসিক হল।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিন্ডিকেটের ১০২তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো: আনিছুর রহমান ভূঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনার পর ৬ দফা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করে। হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে পাশাপাশি ঘটনা সাথে জড়িত সন্দেহের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরের একজন বহিরাগত ২২ জন শিক্ষার্থীকে নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে। পাশাপাশি আগামী ২ মে থেকে আবাসিক হল খুলে দেয়া ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর ১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবির ঘোষণা দেন এবং ছেলেদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে হলগুলোয় প্রবেশ করেন। ১৬ এপ্রিল দুপুরে মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। রোববার (২০ এপ্রিল) ভিসির পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয় এবং বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন।