‘বাংলাদেশ পোশাক রফতানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত’

মানব কথা: কিয়াক সুং বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে।’
কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং বলেছেন, সঠিক কৌশল ও সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রফতানিতে এক নম্বর স্থানে উঠতে প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার ২০২৫ সালের বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের অধিবেশনে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।
কিয়াক সুং বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে তিনি ‘বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে উপস্থাপনা করেন।
তিনি বলেন, শীর্ষস্থান অধিকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নত এবং হাতে তৈরি সুতার জন্য নিজস্ব উৎপাদন সুবিধা স্থাপন করতে হবে।
তিনি নীতি সহায়তার গুরুত্ব ও বিপুল সংখ্যক বন্ডেড গুদামের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
কিয়াক সুং বলেন, ‘এগুলো কাঁচামালের দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে, যার ফলে নির্মাতারা আরো দক্ষতার সাথে পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করতে পারবেন।’
সাম্প্রতিক বাণিজ্য উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প-যুগের শুল্ক নীতির তিন মাসের স্থগিতাদেশ কিছুটা স্বস্তি এনেছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তিনি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি সতর্ক করেন, ‘আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনের ওপর মনোযোগ দিতে হবে, অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।’
বিজিএমইএ-এর প্রশাসক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সূত্র : বাসস